বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

জাতিসংঘের দারিদ্র্য নির্মূল জোটের ভার্চুয়াল উদ্বোধনীতে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের দারিদ্র্য নির্মূল জোটের এক ভার্চুয়াল উদ্বোধনীতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, ‘কভিড-১৯ মহামারী থেকে টেকসই পুনরুদ্ধারের জন্য জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে। এ সহযোগিতা হতে হবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জনস্বাস্থ্যব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে। আর তাহলেই কেবল এ প্রচেষ্টা দারিদ্র্য নির্মূলের ক্ষেত্রে পরিপূরক ভূমিকা পালন করতে পারে।’ দারিদ্র্য বিমোচন ও এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সদস্যরাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও অন্য অংশীজনদের পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে এ জোট গঠনের উদ্যোগ নেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি তিজানি মুহাম্মদ বান্দে। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সদস্য দেশ দারিদ্র্য নির্মূলের এ জোটটিতে যোগ দিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা এ জোটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ঘোষণা দেওয়ার সময় শেখ হাসিনা সরকারের ‘জনকেন্দ্রিক’ও ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ দারিদ্র্য বিমোচন নীতিসমূহের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এ নীতিসমূহ দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সক্ষমতা বিনির্মাণে বিনিয়োগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, মোবাইল ব্যাংকিং, কৃষি বিপণনসহ নানামুখী সরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে এসেছে।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে বিশেষ করে রেমিট্যান্সের স্বল্পতা ও বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়ার কারণে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের প্রণিধানযোগ্য প্রচেষ্টাগুলোর গতি কিছুটা শ্লথ হতে পারে। তবে তিনি জানান, করোনা মহামারী থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সরকারি পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে দারিদ্র্য বিমোচন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং দেশের অর্থনীতি বিশেষ করে তীব্র ঝুঁকিতে থাকা শিল্প ও কৃষি খাতের সহায়তায় শেখ হাসিনা সরকার যে ব্যাপকভিত্তিক প্রণোদনা প্যাকেজ ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তা তুলে ধরেন স্থায়ী প্রতিনিধি। তাঁর মতো বৈশ্বিক এ মহামারী থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বেসরকারি খাতের পরিপূরক ভূমিকা পালন করা উচিত।

এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী বিপুল জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেবে। এ মহামারীর ফলে এসডিজির বাস্তবায়ন যথেষ্ট বাধাগ্রস্ত হবে; কারণ জরুরি স্বাস্থ্য সংকট মেটানোর প্রয়োজনে সম্পদকে এ খাতেই প্রবাহিত করতে হচ্ছে। রাষ্ট্রদূতরা আশা প্রকাশ করেন, বহুপাক্ষিক পর্যায়ে এবং উন্নয়ন অংশীজনদের মাঝে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে দারিদ্র্য নির্মূলের এ জোট হতে পারে কার্যকর একটি প্ল্যাটফরম।

সর্বশেষ খবর