শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

জনগণকে চাপ দিয়ে সরকার কর আদায় করছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

জনগণের ওপর চাপ দিয়ে সরকার কর আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এখন এ দুঃসময়ে বিদ্যুৎ বিল, আয়কর, অগ্রিম আয়কর, পৌর কর এবং আরও যেসব কর আছে তা আপাতত বন্ধ করা উচিত। এজন্য যে, এখন মানুষের পক্ষে এসব কর দেওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ করগুলো এখন আরও চাপ দিয়ে জনগণের কাছে থেকে আদায় করা হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে ভার্চুয়ালে দলের গঠিত ‘জাতীয় করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সেলের ত্রাণ বিতরণ কর্মকান্ড’ তুলে ধরে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল আদায়ের অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনার এ দুঃসময়েও বিদ্যুতের ভৌতিক বিল তৈরি করা হচ্ছে। অনেক বেশি বিল আসছে। যেখানে ৫-৬ হাজার টাকার বিল হয়, সেখানে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার বিল করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা অবিলম্বে এসব বিল আদায় আপাতত বন্ধ এবং বিল সংশোধন করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি জানান, ২০ মার্চ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন সারা দেশে ৫৪ লাখ ১২ হাজার ৪১৬টি পরিবারকে খাদ্যসামগ্রীসহ আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছে। এতে ২ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ৬৬৪ জন উপকৃত হয়েছেন। বিএনপির বাইরে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কয়েক লাখ মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান ও পিপিই বিতরণ করেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যন্ত ভরাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে চাই, ‘আমাদের অনেক গুণীজন চলে গেছেন। আমরা জানি এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। যে ভয়ঙ্কর রকমের বিপর্যয় আসছে, তা মোকাবিলার জন্য সরকারের যে আন্তরিকতা প্রয়োজন ছিল, তা তারা দেখাতে পারেননি; যে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের কথা ছিল, তা তারা পালন করতে পারেননি; যে সমন্বয় থাকার কথা ছিল, তাও করতে পারেননি।’

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন যেখানে আছেন, সেখানে করোনা যাতে সংক্রমিত না হয় সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি করোনা থেকে মুক্ত আছেন। তাঁর অসুস্থতার খুব একটা উন্নতি হয়নি। কারণ এখানে কোনোরকম চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায়নি, যাচ্ছে না। হাসপাতালগুলোয় যাওয়া যায় না। বাইরে (বিদেশ) যাওয়ার ব্যাপারে তো শর্তই দিয়ে দিয়েছে যে বাইরে যেতে পারবেন না। এ অবস্থায় তাঁর স্বাস্থ্যের খুব বেশি উন্নতি হয়নি। তাঁর যা মূল অসুস্থতা, তার চিকিৎসা তো হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘কারণ একটাই যে, এ সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করা একমাত্র গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষেই সম্ভব। আসুন, আজকে আমরা জনগণের পাশে দাঁড়াই। এ মহাবিপর্যয়ে তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করি। একই সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থাকে যেন একটি গণতান্ত্রিক কাঠামোয় রূপ দিতে পারি সেজন্য আমরা সবাই কাজ করি।’

সর্বশেষ খবর