সোমবার, ২৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

অন্তঃসত্ত্বা নারী হত্যা রহস্য উদঘাটন করল র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঞ্চল্যকর অন্তঃসত্ত্বা নারী হনুফা বেগম (২৮) হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব। হত্যা মামলার মূল আসামি খোরশেদ আলম ওরফে মামুন ওরফে ইমরান হোসেন ওরফে আরমান হোসেনকে (২৭) গতকাল লক্ষ্মীপুরের রামগতী উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ওই নারীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে। র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, হনুফা বেগম ঢাকা আশুলিয়ার জিরাবো বাগান বাড়ী এলাকায় তার ছোট ভাই রুহুল আমিনের বাড়ি দেখাশোনা করতেন। রুহুল আমিন বিদেশে থাকেন। এদিকে হনুফা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত ১৩ জুন চিকিৎসক দেখানোর জন্য গ্রামের বাড়ি থেকে রুহুল আমিনের বাসায় আসেন। গত ২০ জুন সকালে হনুফার বড় বোন মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পান। পরে বাসার ভাড়াটিয়া ছাকিয়া রুমে গিয়ে হনুফার লাশ দেখতে পান। এ ঘটনায় তার বড় ভাই রনি (৩৬) আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্তে নেমে র‌্যাব-১ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে- হত্যায় জড়িত একমাত্র আসামি রামগতীর চর আফজাল এলাকায় অবস্থান করছেন। পরে গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় খোরশেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব সদস্যরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে একজন গার্মেন্টসকর্মী। গত ৫ জুন রুহুল আমিনের বাসায় গার্মেন্টসকর্মী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেয়। গার্মেন্টসকর্মীর আড়ালে মূলত সে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল।

ওই বাসায় ভাড়া থাকার এক পর্যায়ে হনুফার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। হনুফার কাছে বিল্ডিং মেরামত ও রং করার জন্য নগদ কিছু টাকা আছে বলে জানতে পারে খোরশেদ। এছাড়াও হনুফার স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন দেখতে পায়। এসব ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে  খোরশেদ তাকে টার্গেট করে। গত ২০ জুন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সে হনুফাকে কৌশলে ফাঁকা একটি রুমে নিয়ে যায় এবং পায়জামার ফিতা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

সর্বশেষ খবর