ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘কভিড-১৯ অতিমারীকালে শিশুদের সাধারণ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখা, নিরাপদে স্কুলগুলো পুনরায় চালু করা, শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা ও সংযোগ নিশ্চিত করা, নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন নিশ্চিত করা, উন্নত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং শিশুদের মনো-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কর্মসূচি তৈরি করা হচ্ছে ইউনিসেফের এ সময়ের অগ্রাধিকার।’

চার দিনব্যাপী বার্ষিক অধিবেশনের শেষ দিন ২ জুলাই রাবাব ফাতিমা আরও বলেন, ‘ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব সমাজ বিনির্মাণে সদস্য দেশের সরকারগুলোকে সহায়তা করতে অবশ্যই ইউনিসেফকে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আর এ প্রচেষ্টা উদ্ভাবন, দক্ষতা ও অর্থের মূল্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’ বিশ্বব্যাপী ইউনিসেফের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো এগিয়ে নিতে কৌশলগত দিক-নির্দেশনা ও সহযোগিতামূলক ছয়টি সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে এ সভায় গৃহীত হয়। এসডিজি বাস্তবায়ন প্রচেষ্টায় সদস্যদেশগুলোকে সহায়তা করার গুরুত্ব উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষার যে ম্যান্ডেট ইউনিসেফের রয়েছে তা বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানটিকে অব্যাহতভাবে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে, এটি অত্যন্ত প্রয়োজন।’ সংকটপ্রবণ দেশগুলোতে নারী, বালিকা ও বালকদের লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধে সেবা ও সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে ইউনিসেফ গৃহীত প্রচেষ্টাগুলোর প্রশংসা করেন তিনি। এ ছাড়া মানবিক ও উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোর সমন্বয় সাধনের জন্য ইউনিসেফের দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন বোর্ড সভাপতি রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

ভার্চুয়ালে এ সমাপনী অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ গ্লোবাল স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নোমা ওয়েন্স-ইবি এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা এইচ ফোর। ইভেন্টটিতে ‘ইউনিসেফ স্টাফ টিম অ্যাওয়ার্ডস-২০১৯’ বিজয়ী পাঁচটি দলের কর্মকা  তুলে ধরে একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়। ইউনিসেফের কর্মীবাহিনীকে সংগঠনটির মেরুদ  হিসেবে উল্লেখ করে এইচ ফোর বলেন, বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়, শিশু ও যুবদের সহযোগিতা প্রদানের ক্ষেত্রে ইউনিসেফসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সির মধ্যে কার্যকর আন্তঃসম্পর্কীয় সহযোগিতা ও সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই।