বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

মৃত রোগীর হাত বেঁধে টাকা আদায়ের ঘটনার তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মালিবাগের প্রশান্তি হাসপাতালে মৃত রোগীর হাত বেঁধে টাকা আদায়ের ঘটনা বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং মৃত ব্যক্তির পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল নোয়াখালীর সুবর্ণচরের সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা মৃত ডা. মহিন উদ্দীন পারভেজের বড় ভাই জসিম উদ্দিন রুবেলের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনটি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চে শুনানি হবে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া রিটে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ এনে হাসপাতালের মালিক ডা. এস এম আলিমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) পরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), শাহজাহানপুর থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রশান্তি হাসপাতালের মালিক ও পরিচালকসহ ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা ডা. মহিন উদ্দীন পারভেজ। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, অনেকটা সুস্থ থাকার পরও গত ১৪ জুন ভর্তি হওয়ার পরই তাকে প্রায় জোর করে আইসিইউতে পাঠিয়ে দেন আইসিইউ কনসালটেন্ট ডা. এস এম আলীম।

 এরপর গত ১৮ জুন ভোরে মহিন উদ্দীন পারভেজ মারা যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতের স্বজনদের কাছে এক লাখ ৫৬ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেয়। এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় রোগীর স্বজন রুবেলের মোবাইল কেড়ে নেন ডা. আলীমের ম্যানেজার সাইফুল। তাকে এক রুমে আটকে রাখা হয়। বলা হয়, টাকা না দিলে তাকে র‌্যাবে দেওয়া হবে। তার ভাইয়ের লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে দিয়ে দেওয়া হবে। পরে রুবেল তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা হাসপাতাল খরচ ও প্রায় ৬০ হাজার টাকা ওষুধের দাম দিয়ে লাশ নিয়ে একই দিন সন্ধ্যায় ছাড়া পান।

সর্বশেষ খবর