বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

কলকাতায় বাংলাদেশির দেহে মায়ের কিডনি প্রতিস্থাপন

দুজনেই করোনাজয়ী

কলকাতা প্রতিনিধি

মায়ের দেওয়া কিডনি থেকেই আপাতত নতুন জীবন পেলেন বাংলাদেশি নাগরিক উত্তম কুমার ঘোষ। কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে মা ও ছেলে উভয়েই করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তারা উভয়ে করোনামুক্ত হওয়ার পর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। ভারতের মাটিতে এই প্রথম করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠা কোনো রোগীর শরীরে সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপিত হলো।

দীর্ঘদিন ধরেই মূত্রাশয়ের সমস্যায় জর্জরিত ৩৮ বছরের উত্তম ঘোষ চিকিৎসা করাতে গত জানুয়ারির শেষে সিরাজগঞ্জ থেকে কলকাতায় আসেন। উত্তমের সঙ্গে আসেন তার বাবা-মা-স্ত্রী ও মেয়ে। দক্ষিণ কলকাতার মুকুন্দপুরের ‘রবীন্দ্রনাথ টেগোর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেস’ (আরটিআইআইসিএস বা দেবী শেঠি হাসপাতাল নামেও পরিচিত) হাসপাতালে উত্তম কুমার ঘোষের প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে কিডনি অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। মার্চে উত্তমের কিডনি প্রতিস্থাপনের দিন নির্ধারিত হয়।

কিন্তু করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে লকডাউন পর্ব চালু হয়ে যাওয়ায় সে অস্ত্রোপচার থমকে যায়।

আরটিআইআইসিএস হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান ডা. দীপক শঙ্কর রায় উত্তমের কিডনি অস্ত্রোপচার করেন। তিনি জানান, ‘স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী কিডনির দাতা ও গ্রাহকের শরীরে কভিড রয়েছে কিনা তার পরীক্ষা প্রয়োজন। পরীক্ষায় দেখা যায় তাদের দুজনই কভিড পজিটিভ। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করেই করোনার চিকিৎসার জন্য তাদের সরকার পরিচালিত বাঙ্গুর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

করোনা নেগেটিভ আসার পর ১২ জুন বাঙ্গুর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান উত্তম ও তার মা কল্পনা দেবী। তার পরও তাদের ১৪ দিনের সেলফ কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক থাকতে হয়। অবশেষে ৩ জুলাই মা-ছেলের সফল অস্ত্রোপচার হয়।

সর্বশেষ খবর