শিরোনাম
সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
করোনা সনদ জালিয়াত

সেই চিকিৎসকের জেল-জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে টাকার বিনিময়ে ‘নন-কভিড সার্টিফিকেট’ দিয়ে বিদেশযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণার সংবাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশের পর ডা. এ এইচ এম শাহ আলমের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। করোনা ‘পজিটিভ’ হওয়ার তথ্য গোপন করে তিনি চেম্বারে রোগী দেখতেন। বেসরকারি হাসপাতালেও যেতেন রোগী দেখতে। এসব অভিযোগে র‌্যাব গতকাল তাকে আটক করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তিনি জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছেন। পরে আদালত তাকে চার মাসের জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে।

রবিবার বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘টাকা পেলেই সার্টিফিকেট দেন ডা. শাহ আলম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর র‌্যাব-৯ তাকে আটক করে। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে করোনার সার্টিফিকেট জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন ডা. এ এইচ এম শাহ আলম (সাগর)। জানা গেছে, ১২ জুলাই শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নমুনা দেন ডা. এ এইচ এম শাহ আলম। ১৩ জুলাই তার করোনা রিপোর্ট আসে পজিটিভ। কিন্তু তথ্য গোপন রেখে চেম্বারে রোগী দেখতে থাকেন। একটি বেসরকারি হাসপাতালেও তিনি রোগী দেখতে যান। তার করোনা পজিটিভের বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি চেম্বার বন্ধ করেন। এদিকে, বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে ডা. শাহ আলমকে নিয়ে নগরীর মধুশহীদস্থ মেডিনোভার চেম্বারে যায় র‌্যাব। চেম্বার তল্লাশির পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায় জানান, টাকার বিনিময়ে করোনার সার্টিফিকেট দেওয়া, ওসমানী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারের ভুয়া পদবি ব্যবহার ও করোনা পজিটিভ হওয়ার তথ্য গোপন করে রোগী দেখার কথা স্বীকার করেছেন ডা. শাহ আলম। পরে তাকে চার মাসের জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের জেলের আদেশ দেওয়া হয়েছে। র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম জানান, ডা. শাহ আলম মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রবাসীদের করোনার সার্টিফিকেট দিতেন। ভুয়া পদবি ব্যবহার করে রোগীদের বিভ্রান্ত করতেন। ডা. শাহ আলমের অপরাধ কর্মকাে র সঙ্গে মেডিনোভা কর্তৃপক্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর