রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বুয়েটে ছাত্রদলের কমিটি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের জেরে ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছিল বুয়েট প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই বুয়েটে নিজেদের কমিটি দিয়েছে বিএনপির সহযোগী ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

শুক্রবার রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পাঁচ সদস্যের ওই আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। যেখানে আসিফ হোসেন রচিকে আহ্বায়ক এবং আলী আহমদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ‘নব-নির্বাচিত’ নেতৃবৃন্দকে আগামী এক মাসের মধ্যে ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। একই বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-ডুয়েট, ইডেন মহিলা কলেজ এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের আহ্বায়ক কমিটিও (আংশিক) দেওয়ার কথাও জানিয়েছে সংগঠনটি।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে গত বছরের ৬ অক্টোবর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে মেরে ফেলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এর প্রতিবাদে গড়ে ওঠা আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে দাবি মেনে নিয়ে ১১ অক্টোবর বুয়েট ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রশাসন।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা ক্যাম্পাসে কমিটি দেওয়ার বিষয়ে জানতে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলকে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার বলেন, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ কারা করেছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করেছে, সরকার করেছে। কিন্তু আমরা মনে করেছি, বুয়েটে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলার জন্য ছাত্রদলের কমিটি দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য আমরা কমিটি দিয়েছি। তাছাড়া দেশের এই অবস্থাতে বুয়েটে কমিটি দেওয়া দরকার বলেও আমরা মনে করেছি।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে বুয়েট প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের পরিপন্থী। তাই বিধি অনুযায়ী তো ব্যবস্থা নিতেই হবে।’ কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সতর্ক করা থেকে আজীবন বহিষ্কার, যে কোনো শাস্তি হতে পারে। এ ব্যাপারে ‘বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন’ সিদ্ধান্ত নেবে।

সর্বশেষ খবর