বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
লস অ্যাঞ্জেলেসে মানববন্ধন

খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

ক্যালিফোর্নিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে অবিলম্বে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। লস অ্যাঞ্জেলেস সিটির ‘লিটল বাংলাদেশ’ এলাকায় মুক্তির চত্বরে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ক্যালিফোর্নিয়া শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সভাপতি নজরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রানা হাসান মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধা নাজির উল্লাহ মোল্লা, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সোহেল রহমান বাদল, ক্যালিফোর্নিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ঢালী মোফাজ্জল হোসেন মফু, বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি রানা বড়ুয়া, হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন মন্ডল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শাহ আলম, ক্যালিফোর্নিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌফিক সোলাইমান খান তুহিন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মমিনুল হক বাচ্চু তার বক্তৃতায় বলেন, আইনের শাসনের দেশ হয়েও যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার জন্য দÐিত রাশেদ চৌধুরীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয়? আশ্রয় প্রার্থনার সময় এই ঘাতক নিশ্চয়ই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালরাতে সম্পৃক্ততার কথা প্রকাশ করেনি। বাচ্চু বলেন, এই একটিমাত্র কারণেই তার আশ্রয় বাতিল করে তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হোক।
সাধারণ সম্পাদক রানা হাসান মাহমুদ খুনি রাশেদের অভিবাসনের নথিপত্র অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার চেম্বারে পাঠানোর জন্য প্রবাসী কমিউনিটির পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভ‚মিকা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর একক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে জাতীয় দিবসগুলোর মতো জাতীয় শোক দিবস সম্মিলিতভাবে মর্যাদার সঙ্গে পালন করার অনুরোধ জানান সবাইকে। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করলে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অন্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লাগাতার দেনদরবারের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সম্প্রতি ঘাতক রাশেদ চৌধুরীর পুরনো ফাইল ওপেন করেছে। এরপর কী ঘটেছে তা জানতে চায় বাংলাদেশি আমেরিকানরা।
বক্তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সুশাসনের ইমেজ সমুন্নত রাখার স্বার্থে অবিলম্বে রাশেদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশে পাঠানোর বিকল্প নেই। একই সঙ্গে একাত্তরের ঘাতক হিসেবে দন্ডিত অন্য আলবদরদেরও গ্রেফতারের পর বাংলাদেশে পাঠাতে হবে।
কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও ছিলেন বাফলার সাবেক সভাপতি জসিম আশরাফি, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসাইন রানা এবং সাবেক সহসভাপতি ফয়জু সোবহান, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামীম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন পান্না, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ মোহাম্মদ হাই, লস অ্যাঞ্জেলেস সিটি যুবলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন ও আনন্দমেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী।

 

সর্বশেষ খবর