শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

হারিয়ে যাচ্ছে কুয়া

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

হারিয়ে যাচ্ছে কুয়া

বর্তমানে কুয়া তেমন দেখা না গেলেও এক সময় গ্রামবাংলার প্রায় সব জায়গায় স্বচ্ছ পানির জন্য কুয়ার ব্যবহার ছিল। বালতি বা কলসের গলায় দড়ি বেঁধে কুয়ার মধ্যে ফেলে দিয়ে টেনে টেনে পানি তুলতে হতো। সেই পানি পান ও রান্নাসহ বিভিন্ন কাজে মানুষ ব্যবহার করত। কিন্তু গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কুয়াগুলো কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে। পরিবর্তিত সময়ে কুয়ার ব্যবহার এখন নেই বললেই চলে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এর কদর কমে এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। ব্রিটিশ শাসনামলের পর বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের ১৭৯ গ্রামে তিন শতাধিক এন্দেরা (কুয়া) খনন করা হয়। কালের বিবর্তনে সেগুলোর অধিকাংশই এখন আর দেখা যায় না। আধুনিক যুগের ছোঁয়া লাগায় বর্তমানে প্রতিটি গ্রাম, পাড়া, মহল্লা কিংবা বাড়িতে বাড়িতে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়। ফলে কুয়ার ব্যবহার কমে গেছে।

সোনাতলা উপজেলায় এখনো প্রায় দেড় শতাধিক এন্দেরা (কুয়া) থাকলেও সেগুলোর বেশিরভাগ ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখন আর মানুষ এন্দেরার (কুয়ার) পানি ব্যবহার করতে চায় না। এ ব্যাপারে হলিদাবগা গ্রামের মো. মতিয়ার রহমান ও এমদাদুল হক মাস্টার জানান, তাদের বাড়িতে ব্রিটিশ আমলে এন্দেরা (কুয়া) খনন করা হয়। তবে ২০০০ সাল থেকে ওই কুয়ার পানি আর পান করা হয় না। কুয়াটি সংস্কার করা হলে পানি পান করা যেতে পারে। এ বিষয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের লিভার ও পরিপাক তন্ত্র বিশেষজ্ঞ ডা. মোকছেদুল আলম জানান, এক সময় সমাজের মানুষ অসচেতন ছিল। তাই তারা নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুরের পানি পান করত।

এতে গ্রামাঞ্চলের মানুষ নানা পানিবাহিত রোগে ভুগত। কিন্তু এখন টিউবওয়েলের পানি ব্যবহারের ফলে এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে। ফলে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী কুয়ার ব্যবহার কমে যাচ্ছে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর