করোনাকালীন লকডাউনের সময়ে তিন মাস বন্ধ থাকা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের ভুতুড়ে বিলের বিষয়ে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্র-১০৬ এ অভিযোগ করে সমাধান পেয়েছেন ভুক্তভোগী একজন গ্রাহক। ফলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রামের পাথরঘাটা অফিসের ওই গ্রাহককে অতিরিক্ত বিল দিতে হয়নি। গতকাল দুদকের এনফোর্স ইউনিটের হস্তক্ষেপে এমন সমাধান মিলেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। জানা গেছে, দুদক অভিযোগ কেন্দ্র-১০৬ এ জনৈক অভিযোগকারী অভিযোগ করেন, করোনাকালীন লকডাউন সময়ে তার দোকানের মিটার রিডিং না দেখে ভুতুড়ে বিল দেওয়া হয়েছে। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সাউথ জোনকে অভিযোগের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেয় দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। ওই চিঠিতে করোনাকালীনসময়ে অভিযোগকারীর ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত মিটার রিডার মিটার রিডিং না নিয়েই ভুতুড়ে বিল প্রস্তুত করেছেন উল্লেখ করে সমাধান ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়। এর পরপরই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রামের পাথরঘাটা অফিস অতিরিক্ত বিল কমিয়ে বিল সংশোধন করে।
এবং এরকম অনিচ্ছাকৃত ভুল ভবিষ্যতে আর ঘটবে না প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। এ ছাড়া গাইবান্ধায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কাটাবাড়ি শাখায় বয়স্ক ভাতার হিসাব খোলার জন্য ব্যাংকের একজন পিয়ন অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগে দুদকের হস্তক্ষেপে পিয়নকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে।