বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
সাহেদের অস্ত্র মামলা

স্যার, আমি নির্দোষ ন্যায়বিচার চাই

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে এ দাবি করেন তিনি। এ সময় বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আসামি সাহেদ করিমের কাছে জানতে চান, তিনি সাফাই সাক্ষী দেবেন কিনা। উত্তরে সাহেদ বলেন, ‘আমি সাফাই সাক্ষী দেব না।’ এরপর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আজ দিন ধার্য করেন আদালত। আত্মপক্ষ সমর্থনে সাহেদ করিম আদালতে বলেন, ‘স্যার, আমার কাছ থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি ন্যায়বিচার চাই।’ এর আগে মঙ্গলবার এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করেন আদালত। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

এর আগে সাহেদ করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। একই আদালত ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ৩০ জুলাই মামলায় সাহেদ করিমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে বলা হয়, অস্ত্রটি আসামি সাহেদের কেনা। তবে সেটি অবৈধ। অস্ত্রটি কেনার পর কোথাও ব্যবহার করা হয়নি। এ জন্য ব্যালাস্টিক পরীক্ষায় কোনো হাতের ছাপ আসেনি।

মামলার তদন্তকালে প্রমাণিত হয়েছে, আসামি সাহেদ অবৈধভাবে অস্ত্র ও গুলি তার নিজ দখলে রেখেছেন। এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ড চলা অবস্থায় সাহেদকে নিয়ে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে সেখান থেকে অস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবি আলাদা দুটি মামলা করে।

১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় সাহেদকে। পরদিন করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। এর আগে ৬ জুলাই সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুরের দুই শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র‌্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। ওই দিনই রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকে সিলগালা করে ভ্রাম?্যমাণ আদালত। এরপর  সন্ধ্যায়  হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

সর্বশেষ খবর