মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

৯ গাড়ি নিয়ে তিন ইসির ব্যাখ্যা ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

গত ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘তিন নির্বাচন কমিশনারের নয় গাড়ি’ শীর্ষক প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিন নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, একজন কমিশনারের প্রাধিকারে ১টি জিপ ও ১টি কার রয়েছে। ইসি সচিবালয় এ কমিশন শপথ নেওয়ার দিন থেকে গত ২২ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৩ বছর ৬ মাস প্রাধিকারভুক্ত জিপ গাড়িটি দিতে পারেনি। আইডিয়া প্রকল্প  থেকে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই অফিসের কাজে ব্যবহারের জন্য ইসির চারজন ড্রাইভারের দায়িত্বে ৪টি জিপ দেওয়া হয়। সচিবালয় থেকে কমিশনারদের প্রাধিকারভুক্ত গাড়ি পাওয়া না যাওয়ায় তারা অফিসের কাজের পাশাপাশি জিপ গাড়ি অফিসে আসা-যাওয়া ও ভ্রমণের কাজে ব্যবহার করেন মাত্র। নতুন কেনা গাড়িগুলোসহ গত সেপ্টেম্বর থেকে কমিশনাররা তাদের প্রাধিকারভুক্ত ২টি গাড়িই ব্যবহার করছেন। প্রকল্প থেকে গাড়িটি অফিসের কাজে ব্যবহারের জন্য কমিশন সচিবালয়কে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনারদেরকে নয়; তাই এই গাড়ি নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক ফেরত দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। নির্বাচন কমিশনাররা তাদের প্রাধিকারভুক্ত একটি জিপ ও একটি কারের জন্য নির্ধারিত পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহার করেন। নতুন যে গাড়ি কেনা হয়েছে তা বিলাসবহুল তো নয়ই; মাঠ প্রশাসনের ইউএনওরাও একই গাড়ি ব্যবহার করছেন। নির্বাচন কমিশন গাড়িবিলাস করেনি বরং ৩ বছর ৬ মাস প্রাধিকারভুক্ত গাড়ি পায়নি। তারা প্রকল্প থেকে অফিসের কাজের জন্য দেওয়া গাড়ি শেয়ার করে ব্যবহার করেছেন। বর্তমানেও তারা প্রাধিকারভুক্ত গাড়ি ও তার জন্য প্রাপ্য জ্বালানিই ব্যবহার করছেন।

প্রতিবেদকের বক্তব্য : যথাযথ তথ্য, উপাত্ত ও প্রমাণ সাপেক্ষে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজের কোনো বক্তব্য উপস্থাপিত হয়নি।

সর্বশেষ খবর