বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রাথমিকে প্যানেল বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা চান চাকরিপ্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্যানেল করে নিয়োগের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, মিরপুরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলছেই। গত মঙ্গলবার থেকে ২০১৮ সালে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের এ কর্মসূচি চলছে। গতকালের অবস্থান থেকে চাকরিপ্রার্থীরা বলেছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্যানেল বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছাড়া কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন না তারা।

গতকালের অবস্থান কর্মসূচিতে দুজন আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এরা হলেন- দিনাজপুর থেকে আসা চাকরিপ্রার্থী রাজকুমার ও শরীয়তপুর থেকে আসা অনন্যা ইসলাম।

নিয়োগপ্রত্যাশীরা বলেন, ২০১৮ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রথম সারা দেশ থেকে প্রায় ২৪ লাখ প্রার্থী অংশ নেন। তার মধ্যে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, যা মোট প্রার্থীর মাত্র ২ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু অধিকাংশই নিয়োগের বাইরে থেকে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না। মুজিববর্ষে এই চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেল করে নিয়োগ দিলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির অনেকাংশে বাস্তবায়ন হবে।

চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম সংকটে পড়েছে। করোনার পর নতুন সার্কুলার দিয়ে বাছাই করে শিক্ষক সংকট দূর করা সময়সাপেক্ষ। তা ছাড়া করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় ২০১৭ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে বাদ পড়া ৫ হাজারের বেশি নার্সকে এবং ৩৯তম বিসিএস থেকে ২ হাজার নন-ক্যাডার ডাক্তার প্যানেল করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে শিক্ষক সংকটের এ ক্রান্তিকালে ৩৭ হাজার ১৪৮ জন প্রার্থী প্যানেল পদ্ধতি থেকে বঞ্চিত হবে কেন? কভিড-১৯-এর কারণে শিক্ষার অপূরণীয় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অবিলম্বে প্যানেল করে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাই।

অবস্থান কর্মসূচিতে প্যানেল প্রত্যাশী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, মো. আবদুর রহিম, আবু হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সর্বশেষ খবর