গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ধর্ষণ সামাজিক ব্যাধি নয়, দেশের শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা। রাষ্ট্রের আনুকূল্যে লালিত সন্ত্রাসী ও সমাজবিরোধী শক্তিই নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগে বাধা রাষ্ট্রশক্তির মধ্যেই নিহিত। ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মণি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আহ্বায়ক কালাম ফয়েজী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক কাউন্সিলর মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ। ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমাদের সরকার আজ রোগগ্রস্ত। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ কবরে শায়িত। সেই কবরের ওপর নৃত্য করছে মানসিক রোগগ্রস্ত সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের দেশে না খেয়ে নেই কোনো মানুষ। হ্যাঁ, না খেয়ে নেই- কথাটা কিছুটা সত্য। কিন্তু না খেয়ে না থাকলেও যথার্থ পুষ্টি নেই। সেটা আরও খারাপ। না খেয়ে থাকলে আন্দোলন হবে, মানুষ ক্ষিপ্ত হবে। কিন্তু মানুষ এখন খেতে পাচ্ছে বলেই আন্দোলন করার স্পৃহাটা নেই। এটাই পুঁজিবাদের ধর্ম। তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের নিপীড়িত শোষিত মানুষের মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার একমাত্র তরুণদের পক্ষেই সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন গণআন্দোলন।