দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ব্রিটিশ সৈন্যদের যেভাবে বিশ্বে আজও স্মরণ করা হয়, একইভাবে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিরস্মরণীয় করে রাখার পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আয়-ব্যয় এবং ব্যাংকে গচ্ছিত তহবিলের হিসাবনিকাশে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৪তম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শাজাহান খান। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও কাজী ফিরোজ রশীদ বৈঠকে অংশ নেন।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত কিছু অনিয়ম ও নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত ৩ সদস্যবিশিষ্ট সংসদীয় সাবকমিটির প্রতিবেদন আগামী ২ মাসের মধ্যে মূল কমিটিতে উপস্থাপন করা হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে বিভিন্ন সময় নিয়োগপ্রাপ্তদের বিস্তারিত তথ্য আগামী বৈঠকে উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে কল্যাণ ট্রাস্টের অর্গানোগ্রাম যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়।সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সাধারণ শিক্ষায় অধ্যয়নকারীদের এক হাজার টাকা হারে এবং মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরতদের এক হাজার পাঁচশত টাকা হারে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৬০ জনকে ছাত্রবৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
