সংবিধান অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া উচিত। যারা সংবিধানবিরোধী কাজ করে তাদেরকে যদি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আওতায় আনা না হয় তাহলে রাষ্ট্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকবে। এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে গতকাল কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আয়োজনে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় এগুলো কোনো ব্যক্তিগত হত্যাকান্ড নয়, দেশকে নেতৃত্বশূন্য করে নব্য পাকিস্তানে রূপান্তর করাই ছিল স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্রের মূল লক্ষ্য।
সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড ও জেল হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করে ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করেন বেগম খালেদা জিয়া। তারা দুজনই হত্যার রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র।জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বিএনপি ও জামায়াতের উদ্দেশে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি যারা শ্রদ্ধাশীল নয়, তারাই হত্যা ও অপরাজনীতির ধারক-বাহক।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলামসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
