শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

৬৯ শস্যগুদামের মালিক এখন কৃষি বিপণন অধিদফতর

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কাছ থেকে দেশের ৬৯টি শস্যগুদামের মালিকানা পেয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। এ মালিকানা বদলাতে গতকাল সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রংপুর, শেরপুর, মাগুরা ও বরিশাল অঞ্চলের ২৭ জেলার ৫৬ উপজেলায় ৮১টি গুদাম পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১২টি গুদাম কৃষি বিপণন অধিদফতরের নিজস্ব এবং অন্যগুলো স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কাছ থেকে বার্ষিক ভাড়ার ভিত্তিতে ব্যবহার করা হচ্ছিল।

প্রতিটি গুদামের গড় ধারণক্ষমতা ২৫০ মেট্রিক টন। বছরে গড়ে ৪ হাজার ৩৬৫ জন কৃষক এসব গুদামে ৪ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন শস্য জমা রাখতে পারেন। ফসল জমা রাখার বিপরীতে বছরে তাদের মোট ৬০৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়। পরে জমা রাখা শস্য বিক্রি করে তারা সে ঋণ শোধ করতে পারেন।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মজুদ করতে না পারায় কৃষককে কম দামে ধান বিক্রি করে দিতে হয়। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই ১৯৭৮ সালে চিন্তা করা হয়েছিল ধান বিক্রি না করে কৃষক যাতে কিছুদিন ধরে রাখতে পারে। সে জন্যই গুদাম প্রয়োজন। তিনি বলেন, শুধু ৬৯টি নয়, সারা দেশেই আমাদের খাদ্য গুদাম করতে হবে। আমরা যে ‘কৃষিবান্ধব’, তা প্রমাণ করেছি।

আবদুর রাজ্জাক বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ৬৯টি গুদাম হস্তান্তর করেছে এবং কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার জন্য জমি দিচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ দিচ্ছি। এটা দিয়ে আমাদের শুরু। আমরা এ প্রকল্পকে আরও সম্প্রসারিত করব।

সর্বশেষ খবর