মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

হেমন্তের ভোরে শীতের হাতছানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

হেমন্তের ভোরে শীতের হাতছানি

আশ্বিনের কাশফুল ঝরানো স্নিগ্ধ বাতাস হিম হয়ে উঠেছে কার্তিকে। মিষ্টি হয়ে উঠেছে ভোরের রক্তিম সূর্য। সূর্যোদয়ের পাখি ডাকা ভোরটা হয়ে উঠেছে কুয়াশাময়। কুয়াশার আঁচল সরিয়ে যখন উত্তরের বাতাস বইছে, শরীরে তখন ছড়িয়ে পড়ছে শীতের হিম স্পর্শ। আর নরম রোদের আবেশ জানান দিচ্ছে- শরৎ গেছে, হেমন্তের হাত ধরেই আসছে শীত। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে কার্তিকের পর অগ্রহায়ণ পেরিয়ে পৌষ-মাঘ শীতকাল ধরা হলেও এবার কার্তিকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। বিকাল পাঁচটা গড়ালেই পশ্চিমে ঢলে পড়ছে সূর্য। গোধূলি লগ্নের রাঙা সূর্য সবাইকে রোমাঞ্চিত করে জলদিই নামিয়ে দিচ্ছে সন্ধ্যা। শেষ রাতের হিম শীতল বাতাসে কাঁটা দিচ্ছে শরীরে। তাই কাঁথা উঠছে সবার শরীরে। দেশের রুক্ষ ও উত্তপ্ত এবং বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত রাজশাহীতেও আঁচ বসিয়েছে শীত। কদিন থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনের বাতাসের শুষ্কতায় টানটান হয়ে উঠছে ত্বক। কৃষকের মাঠে পাকা ধানের সোঁদাগন্ধ আর সাতসকালে উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে হামাগুড়ি দিয়ে শীত আসছে। গত সপ্তাহ থেকে দিনের তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, মধ্য ডিসেম্বরের আগে নয়। অর্থাৎ এ বছর অগ্রহায়ণের শেষে পৌষের শুরুতেই নামবে হাড় কাঁপানো শীত। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ রহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি সপ্তাহ থেকে আবহাওয়ার ধারাবাহিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

গড় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সাধারণত তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির নিচে নামলেই শীত পড়তে শুরু করে। তিনি জানান, দেশে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকবে। এ সময়টায় সর্বোচ্চ শীত পড়বে। এরপর থেকে আবার শীত কমতে শুরু করবে। তাই মধ্য ডিসেম্বরে রাজশাহীসহ গোটা উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসবে শীত।

সর্বশেষ খবর