বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জুম্মনের আইনজীবী সনদের বৈধতা দেওয়া রায় স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাই কোর্টের আইনজীবী হিসেবে বৈধতা ও দুই আইনজীবীকে জরিমানা করে দেওয়া রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল দাখিল না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার অনিক আর হক। জুম্মনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।

গত ৮ নভেম্বর আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ব্যারিস্টার জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাই কোর্টের আইনজীবী হিসেবে  বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের গেজেট প্রকাশ বৈধ বলে রায় ঘোষণা করে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানকে ১০০ টাকা করে জরিমানা করে আদালত। এ ধরনের রিট করে সময় নষ্ট করার জন্য এ জরিমানা করা হয়েছে। পরে ৯ নভেম্বর ওই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাই কোর্টের আইনজীবী হিসেবে জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত করে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে সরাসরি হাই কোর্টের আইনজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত। বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

গত বছরের ২১ নভেম্বর আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় বারবার অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরও হাই কোর্টের এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাই কোর্টের আইনজীবী ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসান বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় কয়েকবার অংশ নিয়েও কৃতকার্য হতে পারেননি হাই কোর্টের এক বিচারপতির ছেলে মো. জুম্মন সিদ্দিকী। অথচ গত ১৯ সেপ্টেম্বর জুম্মন সিদ্দিকীকে সরাসরি হাই কোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে গত বছরের ৩১ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়। তাই রিটে ওই গেজেট এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডারের ২১(১)(খ) ও ৩০(৩) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। জুম্মন সিদ্দিকীসহ বার কাউন্সিলের সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

সর্বশেষ খবর