রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রচলিত আইনের বৈষম্যমূলক বিধান চিহ্নিত চবির গবেষকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক তাদের এক গবেষণাকর্মের সারসংক্ষেপ তুলে ধরতে গিয়ে বলেছেন, দেশে প্রচলিত ৩৬৬টি আইনে বৈষম্যমূলক বিধান রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা গেছে। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের সারসংক্ষেপে গবেষক দলের দলপতি চবি অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক দেখিয়েছেন, ব্রিটিশ ও পাকিস্তান শাসনামল এবং পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অনেক আইন প্রবর্তন হয়, যার অনেক বিধান সময়ের প্রেক্ষাপটে বৈষম্যমূলক বলে চিহ্নিত হচ্ছে। গতকাল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে বৈষম্যমূলক বিধান চিহ্নিতকরণে আইনি গবেষণা প্রকল্পের প্যাকেজ-২’-এর আওতায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বক্তা, গবেষক ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, দেশে বিদ্যমান অনেক আইন বর্তমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে যাচ্ছে না। প্রচলিত এসব আইনে অনেক বৈষম্যও প্রতীয়মাণ। এ বৈষম্য দূর করে আইনি সংস্কার করা অত্যন্ত জরুরি। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন গবেষণা ও সংস্কার প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ কর্মশালাটির আয়োজন করে।

আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও প্রকল্পের পরিচালক ড. মাহমুদ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বদিউল আলম, আইন কমিশনের প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা ফজলুল আজিম, আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদীয় অ্যাফেয়ার্স বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।

গবেষণা দলের অন্য সদস্যরা হলেন চবি অধ্যাপক ড. জাফর উল্লাহ তালুকদার, অধ্যাপক ড. সাজেদা আক্তার, অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা, অধ্যাপক নাজনীন বেগম, সহযোগী অধ্যাপক ড. রকিবা নবী ও সহযোগী অধ্যাপক ড. ম. মঈন উদ্দীন। সরকারের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি লক্ষ্যের ১৬ নম্বর শর্ত হিসেবে দেশের বিদ্যমান আইনগুলো সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর