শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

অটো পাস মেধাবীদের প্রতি অবিচার : জি এম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেন, পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে অটো পাস মেধাবীদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। যারা ক্লাস করতে চান তাদের জন্য খুলে দেওয়া উচিত।

গতকাল সংসদ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন। জি এম কাদের বলেন, ‘মার্চ থেকে স্কুল কলেজ বন্ধ। অটো পাস চালু করা হয়েছে। অফিস-আদালত বন্ধ করা হচ্ছে না। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা দেখি না। পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে অটো পাস মেধাবীদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে।

যারা ক্লাস করতে চান তাদের জন্য খুলে দেওয়া উচিত। যারা পরীক্ষা দিতে চান তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত। দায়দায়িত্ব আছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে।’

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কিন্তু টিউশন ফি আদায় করা হচ্ছে। এ বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। ছাড় দেওয়া উচিত। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা মূলধারার সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে। ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে শুধু মাসিক সামান্য অর্থ দেওয়া হয়। সাধারণ প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ হয়েছে। ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে জাতীয়করণের আওতায় না হলেও এমপিওভুক্ত করা উচিত।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির নিয়ে তিনি বলেন, শীত আসছে। সারা পৃথিবীতে প্রকোপ বাড়ছে। দেশেও বাড়ছে। মৃত্যুও বাড়ছে। সরকার প্রস্তুত। বেশির ভাগ রোগী বাসায় বা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেই বললেই চলে। মফস্বলে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেই। এখনই সরকারি হাসপাতালে সুযোগ সৃষ্টি না করলে শীতে প্রাণহানি বেড়ে যাবে। অননুমোদিত হাসপাতাল চলছে। প্রতারিত হচ্ছে মানুষ। একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠানে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়গুলোয় দৃষ্টি দেওয়া উচিত।

জি এম কাদের আরও বলেন, ‘চিনিকলগুলোয় যে কোনো কারণে হোক মৌসুমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিক-কর্মচারীরা মনে করছেন বন্ধ করে দেওয়া হবে। বন্ধ হলে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে। কয়েক লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। এগুলো চালু রাখা দরকার। নিত্যপণ্য অস্থির করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। বাজার নাগালের বাইরে চলে গেলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আলুর ফলন আগের বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে। কিন্তু দাম বেড়েছে। ঘাটতির কথা নয়।

সর্বশেষ খবর