মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী হত্যায় হাই কোর্টের রায়

ফাঁসির দন্ড কমিয়ে ঘাতক রাসেল মিয়ার যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাওদা হত্যা মামলায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী রাসেল মিয়ার মৃত্যুদন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের দন্ডাদেশ দেওয়া হয়। গতকাল হাই কোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিনের দ্বৈত বেঞ্চ রাসেলের সাজা কমিয়ে এ রায় ঘোষণা করে। রাসেল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ওই হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করে।

২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সকালে মহানগরের ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সাওদাকে কুপিয়ে হত্যা করেন তার সাবেক প্রেমিক রাসেল। এ ঘটনায় সাওদার মা শাহিদা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় রাসেলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের নয় দিন পর রাসেলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওইদিন রাসেল মিয়া প্রেমবিচ্ছেদে ক্ষুব্ধ হয়ে সাওদাকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল রাসেল মিয়াকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৫ সালের ১ জুন রাসেলকে মৃত্যুদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম নাসিম রেজা। রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন রাসেলের স্বজনরা। ২০১৯ সালের ৯ মে হাই কোর্টে শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল রাসেলের মৃত্যুদন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ মুহসীন উদ্দীন ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান সুজান চন্দ্র হালদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে এভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা ঘৃণিত অপরাধ। তারা আশা করেছিলেন আদালত অপরাধীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেবে। নিম্ন আদালত আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছিল। উচ্চ আদালত তা কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছে। উচ্চ আদালতের বিবেচনায় এ রায় সঠিক হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এতে খুশি নয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর