শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনায় প্রাণ হারানো গণমাধ্যমকর্মীদের স্মরণে প্রদর্শনী

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

চিকিৎসক, নার্স, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি করোনার সম্মুখ যুদ্ধের সৈনিক ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের থাবায় ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন সম্মুখযোদ্ধা বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী। তাদের বলিদানকে স্মৃতিবহ করে রাখতে জাতীয় জাদুঘরে তিন দিনের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। বরেণ্য চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, চিত্রকর গুলশান হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান, তাহমিনা হাফিজ লিসার চিত্রকর্ম ও নাসির আলী মামুনসহ  বিজেসি সদস্যদের তোলা শতাধিক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। এতে শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ এঁকেছেন ‘লড়াই’ ও ‘ঝুঁকি’।

‘লড়াই’-এ দেখা যায় এক হাতে ক্যামেরা অন্য হাতে একজন সংবাদকর্মী দুর্যোগকে আটকানোর চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে ‘ঝুঁকি’তে রয়েছে ছোট ট্রাইপডে ক্যামেরা বসিয়ে সংবাদ সংগ্রহের গল্প। মো. মনিরুজ্জামানের ‘অবিচল’, নাসির আলী মামুনের ‘জার্নালিস্ট উইথ করোনা ইনফ্রন্ট অব অ্যা হসপিটাল হোয়ার এভরিবডিজ ডিজঅ্যাপেরাড ইন্টারভিউইং অ্যা মাউস’ ও তাহমিনা হাফিজ লিসার ‘সম্মুখযোদ্ধা’য় উঠে এসেছে সাংবাদিকদের নানা লড়াইয়ের গল্প।

গতকাল জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে ‘চিত্রকর্ম ও আলোকচিত্রে করোনায় গণমাধ্যমের লড়াই’ শিরোনামের এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিজেসির ট্রাস্টি সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় অনলাইনে যুক্ত হন বরেণ্য চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও গুলশান হোসেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের করোনাকালের নির্ভীক যোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করে উদ্বোধনকালে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার শুরু থেকেই ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে সাংবাদিকরা কাজ করে চলেছেন, সত্যিই তা প্রশংসনীয়। আমি কোনো সাংবাদিককে ভীতি নিয়ে হাতগুটিয়ে বসে থাকতে দেখিনি। এতে করে আমার অনেক ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেছেন, যা আমি কখনো ধারণা করতে পারিনি।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে। কাল বুধবার শেষ হবে তিন দিনের এই প্রদর্শনী।

সরকারি সংগীত কলেজের ডিজিটাল আয়োজন : বাণী আর সুরের ইন্দ্রজালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকারি সংগীত কলেজ। করোনার ভয়াবহতার কারণে ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিজেদের ফেসবুক ফেজে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত ১০০টি গান দিয়ে সাজানো হয়েছে সুরের এই আসর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সভাপতিত্ব করেন সরকারি সংগীত কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কৃষ্টি হেফাজ।

সাত দিনের এই ডিজিটাল সুরের আসরের শিল্পীরা হলেন শাহীন সামাদ, তিমির নন্দী, চন্দনা মজুমদার, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, বুলবুল ইসলাম, বাপ্পা মজুমদার,  রুমানা ইসলাম, সাজেদ আকবর, সালমা আকবর, আসগর আলীম, ইয়াসমিন আলী, অসিত রায়, পদ্মিনী দে, লাভলী দেব, তুলিকা ঘোষ চৌধুরী, জয়নুল আবেদীন, দেবদাস চৌধুরী ও তানিয়া নাহিদ। প্রবাসী শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন গৌরী চৌধুরী (যুক্তরাজ্য), ড. মমতাজ মমতা (কানাডা), শাহনাজ রহমান সুমী (যুক্তরাষ্ট্র), ইখতিয়ার ওমর (কানাডা), অরুনাভ ভট্টাচার্য (কানাডা) ড. নার্গিস নাসির (ভারত), জিয়াউল হক জিয়া (যুক্তরাষ্ট্র) বিজয়া সেনগুপ্তা (যুক্তরাষ্ট্র), চিত্রা সরকার (কানাডা)।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর