কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন নীতিমালা সংশোধন, ওভারটাইম কর্মঘণ্টা বৃদ্ধি এবং স্কেল অনুযায়ী আর্থিক সুবিধা দিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও কর্মচারীদের উচ্চশিক্ষার প্রশাসনিক অনুমতি দেওয়াসহ আট দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কর্মচারী সমিতি। গতকাল প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূূূচি পালন করে তারা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন অবস্থানস্থলে এসে কর্মচারীদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে সমিতি আন্দোলন স্থগিত করে। এ সময় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব উপস্থিত ছিলেন। কর্মচারী সমিতির সভাপতি দীপক চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমাদের উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার মহোদয় আশ্বাস দিয়েছেন, কাল সিন্ডিকেটে আমাদের আপগ্রেডেশন নীতিমালা সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া অন্য যে দাবিগুলো আছে সেগুলো কাল বসে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। সেজন্য আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি। তবে দাবি আদায় না হলে আবার আন্দোলনে যাব।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘আগামীকালের সিন্ডিকেটে আপগ্রেডেশন নীতিমালা সংশোধনের বিষয়ে একটি কমিটি করা হবে এবং পরে সে আলোকে সুন্দরভাবে একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে।
কর্মচারীদের আরেকটি দাবি যা ওভারটাইমের ক্ষেত্রে বেসিকহারে বেতন দেওয়ার বিষয়ে- এ বিষয়ে কথা হচ্ছে, ইউজিসিও ঘণ্টা হিসেবে বেতন দেয়, আমরাও ঘণ্টার বাইরে যেতে পারব না।’
