জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ৮৫ বছর বয়সী বুড়োর সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির ১২ বছর বয়সী ছাত্রীর বিয়ের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আগামী রবিবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

১২ বছরের কিশোরীর সঙ্গে বুড়োর বিয়ের ঘটনা ২০ নভেম্বর পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তা আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এ আদেশ দেয়।

স্থানীয়রা জানায়, ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় কওমি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। একই গ্রামের বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের নাতি শাহীনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শাহীনের ধর্ষণে কিশোরী গর্ভধারণ করে। পরে তার গর্ভপাতও ঘটানো হয়।

জানা গেছে, মাতব্বররা শালিস করে নাতি শাহীনের দায় তার দাদা মহির উদ্দিনের ওপর চাপিয়ে দেন। মহির উদ্দিনের প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেছেন। তৃতীয় বিয়ে করেছেন ২৭ বছর আগে। কিশোরীটি তার চতুর্থ স্ত্রী। তিনি ৭ সন্তানের জনক। মহির এখন ঠিকমতো কথাও বলতে পারেন না; দৃষ্টিও ঝাপসা।