রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
বুড়িমারীতে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা

আরও এক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে গণপিটুনি দিয়ে শহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার রাসেল ইসলাম রাজ ওরফে বিশু (২২) নামে আরও এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে পাঁচজন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিলেন। এ মামলার মূলহোতা বুড়িমারী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন ডেকোরেটর এবং মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ এ মোট পাঁচজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার রাতে আমলি আদালত-৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাফিল আলমের আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে জবানবন্দি দেন রাসেল। এর আগে গত রবিবার দুপুরে আমলি আদালত-৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসী বেগম পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। রাসেল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া এলাকার হামিদুল ইসলামের ছেলে। জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, বহুল আলোচিত জুয়েল হত্যা মামলায় দায়ের করা তিন মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি রাসেলকে গত ১৯ নভেম্বর রাতে পাটগ্রাম কলেজ মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনটি মামলা তদন্তে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে আলোচিত এ মামলায় গত ২৬ নভেম্বর ইসলামপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আইনুল হকের ছেলে ফরিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় মোট ৪০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যার মধ্যে ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি ওমর ফারুক। 

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর রাতে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক আবু ইউনুস মো. শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রিপাড়ার আবদুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর