শিরোনাম
রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
ওয়েবিনারে অভিমত

দেশ এখনো তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপের ঝুঁকির মধ্যে

রাজধানীতে গতকাল অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে বলা হয়, দেশ এখনো তামাক কোম্পানিগুলোর শক্তিশালী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তামাক কোম্পানিগুলো চলমান কভিড-১৯ মহামারীকে শতভাগ কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে। মূলত সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক (সিএসআর) কর্মসূচির অজুহাতে তারা নীতিনির্ধারক ও প্রশাসনের সঙ্গে মিশে নানাবিধ ব্যবসায়িক সুবিধা আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। ওয়েবিনারে ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক : এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ বাস্তবায়ন প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ২০২০’ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অনলাইনভিত্তিক জুম সফটওয়্যারের মাধ্যমে  ওয়েবিনারটির আয়োজক প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, তামাক অপরিহার্য পণ্য তবে শুধু মৃত্যুর জন্য, জীবনের জন্য   নয়। বিজ্ঞপ্তি

 এটি কোনোভাবেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায় থাকতে পারে না। বরং এটি সংবিধানের বাঁচার অধিকার সংক্রান্ত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। কভিডের মধ্যে অনেক তামাক কোম্পানিকে প্রণোদনার টাকা দেওয়া হয়েছে- এটা হতে পারে না। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সাবেক সমন্বয়ক মুহাম্মদ রূহুল কুদ্দুস। অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, কভিড-১৯ আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে তামাক ব্যবহার কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। এটা এমন এক সমস্যা যার সমাধানে সব মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

ওয়েবিনারে বক্তৃতা করেন ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের শফিকুল ইসলাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডা. সৈয়দ মাহবুবুল হক, দি ইউনিয়নের সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের এম এ সালাম, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের প্রমুখ। স্বাগত বক্তৃতা দেন আত্মার কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন। আত্মার কো-কনভেনর নাদিরা কিরণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞার তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর