মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

১১ বছরেও পূর্ণতা পায়নি গল্লামারী স্মৃতিসৌধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

১১ বছরেও পূর্ণতা পায়নি গল্লামারী স্মৃতিসৌধ

খুলনার বধ্যভূমি গল্লামারীতে স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধের মূল স্তম্ভের কাজ কয়েক বছর আগে শেষ হলেও এটি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। ১১ বছরেও পূর্ণতা পায়নি স্মৃতিসৌধটি। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্মৃতিবহুল গল্লামারীর এই স্থানটিতে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদরের হাতে নিহত অসংখ্য মানুষকে গণকবর দেওয়া হয় গল্লামারীতে। এই স্থানের কাছাকাছি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে কয়েকটি সশস্ত্র যুদ্ধের ঘটনাও ঘটে। খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির মুখে ২০০৯ সালে স্বাধীনতা সৌধ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আজাদ-ইলোরা জয়েন্ট ভেঞ্চার ২০১১ সালে দুই কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মূলস্তম্ভ নির্মাণ করে। তবে স্মৃতিসৌধকে পূর্ণতা দিতে মূল স্তম্ভের চারপাশে ১০ ফুট লাল টাইলস্ বসানো, পায়েহাঁটা পথ, পার্কিং ইয়ার্ড, সীমানা প্রাচীর, গেট, সিকিউরিটি শেড, রেস্টুরেন্ট, দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান, পানির ফোয়ারা নির্মাণ করার পরামর্শ দেন স্মৃতিসৌধের স্থপতি আমিনুল ইসলাম ইমন।

 নকশা অনুযায়ী এটিকে পূর্ণতা দিতে আরও টাকার প্রয়োজন। জেলা পরিষদ সূত্রে জানাগেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে গল্লামারী স্মৃতিসৌধের বাকি কাজ সম্পন্নের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে একাধিকবার চিঠি দিলেও সাড়া মেলেনি। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা জেলা ইউনিট কমান্ডার সরদার মাহাবুবার রহমান বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার এত বছর পরও গল্লামারী স্মৃতিসৌধটি পূর্ণতা পায়নি। মূল নকশায় যেসব বিষয় নির্মাণ করার কথা ছিল তা করা হয়নি। তিনি বলেন, মূল সড়ক থেকে স্মৃতিসৌধে যাওয়ার সড়কটি এখনো কাঁচা। এখানে থাকা উন্মুক্ত মঞ্চটি এখন আর ব্যবহারের উপযোগী নয়। মেঝে ফেটে গেছে। মঞ্চ দেওয়ালটিও খসে পড়েছে। স্মৃতিসৌধ এলাকায় অবাধে গরু-ছাগল চরে বেড়াচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর