বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

৪৯ বছর পর ময়মনসিংহে ‘জয় বাংলা চত্বর’

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

৩০ ফুট উঁচু অবকাঠামোতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। যার পেছনে রয়েছে ৭টি পাম গাছ। এ গাছগুলো স্মৃতি বহন করে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের। আর ভাস্কর্যের সামনে নয় ইঞ্চি করে রয়েছে ১৬টি পিলার। যা ১৬ ডিসেম্বরকে বহন করে। ৯ হাজার বর্গফুটের এই চত্বরে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করা আরও কিছু স্তম্ভ। বঙ্গবন্ধুর জীবনী এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে। তাই নাম দেওয়া হয়েছে ‘জয় বাংলা চত্বর’। দেশ স্বাধীনের ৪৯ বছর পর নগরীর পাটগুদাম সেতু সংলগ্ন এমন চত্বরের দেখা পেল ময়মনসিংহবাসী। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নির্মিত এ চত্বরটি গতকাল উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু। আর এমন কাজের প্রশংসা করে মোবাইল ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। ভাস্কর শিল্পী অনুপম সরকার জনি জানান, বেদির দুই পাশে টেরাকোটার মাধ্যমে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ পর্যন্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে তুলে ধরার জন্য চত্বরে ফাইবার আর মার্বেল ডাস্ট দিয়ে ১৭টি শাপলা ফুল নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিকৃতির দুই পাশে মুক্তিযুদ্ধের দৃশ্যপট ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

 এই ভাস্কর শিল্পী জানান, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি যে অবকাঠামোতে বসানো হয়েছে, সেটি ৩০ লাখ শহীদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রতিকৃতির ডান প্রান্তে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্মরণীয় উক্তি, আর বাম পাশে জীবনী। চত্বরের বাম পাশে রয়েছে সাতটি সিঁড়ি। সিঁড়ি দিয়ে ৭ মার্চে ঐতিহাসিক ভাষণ বোঝানো হয়েছে। আর ডান পাশের ছয়টি সিঁড়ি দিয়ে ছয় দফা আন্দোলনকে বোঝানো হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতেই এই চত্বর জানান সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু। জয় বাংলা চত্বর উদ্বোধনকালে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, প্যানেল মেয়র-১ আসিফ হোসেন ডন, জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন কালাম।

সর্বশেষ খবর