হোমনা উপজেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন থেকে ঢাকায় ফেরার পথে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন নিখিলের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মনির হোসেন নামে যুবলীগের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় নবনির্বাচিত সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কায়সার বেপারীর নেতৃত্বে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপজেলা সদরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার হোমনা উপজেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন রাতে সম্মেলন-পরবর্তী দ্বিতীয় পর্ব কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম নিখিলসহ অতিথিরা ঢাকায় ফেরার পথে এই হামলার শিকার হন। পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শাহ আজম বিটুর কর্মী-সমর্থকরা ঢাকার অতিথিদের গাড়িবহরে হামলা করেন।

এ সময় নবনির্বাচিত সভাপতি খন্দকার নজরুল ইসলামের একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো- ১৯-৪৬১০) ভাঙচুর হয়। এতে নজরুল ইসলামসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সালাহ উদ্দিন (২০) ও আবদুর রহমান বাবুল (৪০) নামে দুজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। অন্য আহতরা হলেন- রেজাউল করিম, রাসেল, মাহমুদ, বাপ্পি, জনি, শাকিল, মো. ফরিদ, মামুন, শরীফ। 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, উপজেলা যুবলীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কায়সার বেপারী বাদী হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় হোমনা থানায় একটি মামলা করেছেন। এতে যুবলীগ নেতা শাহ আজম বিটু, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান ও ছাত্রলীগ নেতা কামরুলসহ ৩০ জনের নামে এবং আরও ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মনির হোসেন মাস্টার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।