ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এবং কোভ্যাক্সের আওতায় আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ডোজ টিকা পাবে বলে আশা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ওষুধ এবং টিকার জন্য স্থাপিত গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী ৩ কোটি এবং কোভ্যাক্সের আওতায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে আরও আড়াই কোটি টিকা পাওয়া যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেবে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষকে। তাতে সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ভ্যাকসিন বাংলাদেশ জুনের ভিতরে পেয়ে যাচ্ছে। কোভ্যাক্সের প্রতিশ্রুত টিকা মে এবং জুন মাসের ভিতরে পাওয়ার আশা করছি। এই টিকার জন্য ক্রয়াদেশও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জাহিদ মালেক আরও বলেন, ভারত প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেবে বাংলাদেশকে। সে হিসাবে ৩ কোটি ডোজ টিকা আসতে লাগবে ছয় মাস। আর কোভ্যাক্সের টিকাও একবারে দেবে না। আমরা প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দিতে পারব। সে হিসাবে অক্সফোর্ডের টিকা দিতে লাগবে ছয় মাস। সব মিলিয়ে সাড়ে ৫ কোটি টিকা দিতে প্রায় বছরখানেক সময় লাগবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য কোল্ড চেইনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। টিকা দেওয়ার জন্য যে স্থানীয় প্রস্তুতি, তাও আমরা যথাযথভাবে নিয়েছি। স্টোরেজ করেছি।
টিকার তাপমাত্রা মেনটেইন করার জন্য কিছু বাড়তি কোল্ড বক্স লাগবে, তার ব্যবস্থাও হয়ে গেছে।স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন।