তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনাপীড়িত ২০২০ সালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে তা বিশ্বে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশগুলোর অন্যতম। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এনআইএমসির মহাপরিচালক শাহিন ইসলামের সভাপতিত্বে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, তথ্য সচিব খাজা মিয়া ও মন্ত্রণালয়ের সংস্থাপ্রধানরা সেমিনারে সংযুক্ত হন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর এ বছরে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে বিশ্বের ধনাত্মক প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী মাত্র ২২টি দেশের মধ্যে অন্যতম স্থান অধিকার করেছে। করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও ব্লুমবার্গ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ উপমহাদেশের মধ্যে প্রথম ও সারা বিশ্বে ২০তম। গম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ ২৮তম অর্থনীতির দেশ হবে। ২০৩৫ সালে হবে পৃথিবীর ২৫তম অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থান দাঁড়াবে পৃথিবীতে বহু উন্নত দেশেরও ওপরে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে অন্যতম বড় অর্জন বৈদেশিক সাহায্য ছাড়া সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। করোনাকালেও মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার ৬৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। সম্প্রতি আইএমএফ রিপোর্ট বলছে, আগামী বছর বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের চার স্তম্ভের একটি গণমাধ্যম সুদৃঢ় থাকলে রাষ্ট্রও সুদৃঢ় থাকে। স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, প্রেস ইনস্টিটিউট ও ওয়েজবোর্ড। সে ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণমাধ্যমের স্বাধীন ও সুষ্ঠু বিকাশে বহু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
