শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ জেলা বিএনপির কোন্দল চরমে

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির অন্তঃকোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। কোন্দলে জড়িয়ে পড়া গ্রুপগুলো একে অপরকে ঘায়েল, পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা ছাড়াও পদত্যাগ করার হুমকি দিচ্ছেন কেউ কেউ। চলমান কোন্দল নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি হাইকমান্ড।

চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির অন্তঃকোন্দল নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বিএনপির কোনো সিনিয়র নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নেতা বলেন, চরম আকার ধারণ করা কোন্দল মেটাতে সিনিয়র নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারা এ বিষয়ে সব গ্রুপের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অভিভাবকশূন্য অন্তঃকোন্দলে জর্জরিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। ৪৩ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খোন্দকারকে। কোন্দল নিরসনে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা হলেও উল্টো তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। নতুন আহ্বায়ক কমিটিকে ঠেকাতে একাট্টা হয়েছে উত্তরে বিদ্যমান বিভিন্ন গ্রুপ ও উপগ্রুপগুলো। কারাবন্দী কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, গিয়াস কাদের চৌধুরী, এস এম ফজললু হকের গ্রুপ মাঠে নেমেছে গোলাম আকবর খোন্দকারকে ঠেকাতে। গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন আহ্বায়ক কমিটি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিলেও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণার পর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শেষ পর্যন্ত কর্মসূচি পালন থেকে সরে আসে নতুন কমিটির নেতারা। এরই মধ্যে কোন্দল নিরসনে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের সঙ্গে পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অভিন্ন অবস্থা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপিতেও। গত বৃহস্পতিবার পাঁচ উপজেলা ও চার পৌর কমিটি ঘোষণা করে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। নতুন কমিটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে চরম অসন্তোষ দেখা দেয় পদবঞ্চিতদের মধ্যে। নিষ্ক্রিয়দের কমিটিতে স্থান দেওয়ায় ক্ষোভে পদত্যাগ করেছেন বোয়ালখালী পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু। পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন আরও কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। পদত্যাগ করা আবুল কালাম আবু বলেন, যাদের আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে সদস্য সচিবসহ অনেকে দলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে ওই কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছি।

উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত বলেন, যাদের নিয়ে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে তাদের অনেকেরই একযুগেরও বেশি সময় দলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। দলীয় কোনো কর্মসূচিতে তারা সম্পৃক্ত ছিলেন না। তাদের এ কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

সর্বশেষ খবর