মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

২৫ দিন পর হিমঘর থেকে লাকিং মের লাশ পেলেন স্বজনরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

দুই পক্ষের টানাটানিতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের হিমঘরে টানা ২৫ দিন পড়েছিল টেকনাফের চাকমা পল্লীর মেয়ে লাকিং মে চাকমার (১৫) লাশ। আইনি জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে মেয়ের লাশ পেলেন স্বজনরা। সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রামুর কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ মহাশ্মশানে সমাহিত করা হয় লাকিং মে চাকমার লাশ। এ সময় মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল বেলা ৩টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে লাকিং মে চাকমার লাশ হস্তান্তর করা হয়। লাশ গ্রহণ করেন লাকিং মের চাচাতো ভাই ক্যচিং মং চাকমা। লাশ হস্তান্তর করেন র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্জুন চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের নির্দেশে হিমঘরে পড়ে থাকা মেয়ের (লাকিং মে) লাশ মা-বাবাসহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাকিং মে চাকমার বাড়ি টেকনাফ উপজেলার সমুদ্র উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নে। তার বাবার নাম লাল অং চাকমা। এক বছর আগে ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় যুবক আতাউল্লাহর নেতৃত্বে কয়েকজন অপহরণ করে লাকিং মে চাকমাকে। পরে কুমিল্লায় নিয়ে জোর করে ধর্মান্তর, বাল্যবিয়ে এবং শেষে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ পরিবারের।

গত ৯ ডিসেম্বর আতাউল্লাহর ঘরে মারা যান লাকিং মে। মারা যাওয়ার ১২ দিন আগে লাকিং মে জন্ম দেন একটি কন্যাসন্তান। নবজাতকের বয়স এখন ৩৭ দিন। আতাউল্লাহর বাড়িও একই ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে। তার বাবার নাম নুর আহমদ। ৯ ডিসেম্বর থেকে লাশ হিমঘরে পড়ে ছিল।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন মো. আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালের হিমঘরে মেয়েটির লাশ পড়ে ছিল। হিমঘরের ভাড়া এসেছে ২৪ হাজার টাকা। লাকিং মের পরিবার অসহায় ও দরিদ্র হওয়ায় ওই টাকা পরিশোধ করেছে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার কর্তৃপক্ষ।

লাকিং মে চাকমার বাবা লালা অং চাকমার দায়ের করা মামলার আইনজীবী মহিউদ্দিন খান বলেন, এখন আসামিদের গ্রেফতার ও অপহরণ মামলার বিচারকাজ শেষ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

 

সর্বশেষ খবর