শনিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

নাটোরে মালটা কুল ও পেয়ারা চাষে সাফল্য

নাসিম উদ্দীন নাসিম, নাটোর

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মালটা চাষ করা হচ্ছে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে মালটা চাষের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে পেয়ারা, কুল, লেবুসহ অন্য ফসল চাষে অতিরিক্ত লাভের স্বপ্ন দেখছেন অনেকে। বার্ষিক প্রতি একর জমি ৫০ হাজার টাকা হিসাবে লিজ নিয়ে চাষাবাদ করা হচ্ছে।

বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের ব-দ্বীপ আকার বিশিষ্ট গয়লারঘোপ এলাকা। এর পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ বড়াল নদী বেষ্টিত। এলাকাটি সবজি চাষে প্রসিদ্ধ। এখানে সবজির পাশাপাশি স্বল্প মেয়াদি ফল চাষেও এগিয়ে। এখানে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে সবজি ও স্বল্প মেয়াদি ফল চাষে সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন অনেকে।

এ গ্রামের আসমত আলী একজন সফল কৃষক। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কৃষি কাজে সম্পৃক্ত। তিনি এককভাবে পৈতৃক জমিসহ লিজ নেওয়া তিন একর জমিতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষাবাদ করেন। কলা, পেঁপে, পেয়ারা, কুল, বিলাতি ওল ও কচুসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে একজন সফল কৃষক। দুই বছর আগে যৌথভাবে নাটোর মহিলা কলেজের প্রভাষক কৃষিবিদ গোলাম মওলা, আসমত আলী ও রেজাউল করিম বারি-১ জাতের মালটা চাষ শুরু করেন। সাথী ফসল হিসেবে থাই-৩ জাতের পেয়ারা, কাশ্মীরি সাধারণ কুল, কাশ্মীরি বল সুন্দর কুল, টককুল ও সিডলেস লেবু গাছ রোপণ করেন। প্রতি একরে ৩০০ মালটা গাছের সাথী ফসল হিসেবে ১৫০টি পেয়ারা গাছ ও ১৫০টি কুলগাছ রোপণ করেন। প্রতি মালটা গাছে মৌসুমে ৮০ থেকে ৯০ কেজি মালটা উৎপাদন হয়।  প্রতি কেজি মালটা ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি মৌসুমে ৩০ থেকে ৩৫ কেজি পেয়ারা উৎপাদন হয়। প্রতি কেজি পেয়ারা ৩০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি কুল গাছে ৩০ থেকে ৪০ কেজি কুল উৎপাদন হয়। প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

কৃষক আসমত আলী জানান, শিক্ষিত বেকার যুবকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বল্প জমিতে মালটাসহ অন্য ফসল চাষের মাধ্যমে সংসার জীবন স্বাচ্ছন্দ্যে যাপন করা সম্ভব। তিনি এলাকার বেকার যুবকদের মালটাসহ অন্য ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।

কৃষিবিদ প্রভাষক গোলাম মওলা জানান, প্রতি একরে প্রথম ও দ্বিতীয় বছর পর্যন্ত চারা ক্রয়, লেবার, কীটনাশক ও ছত্রাক নাশকসহ অন্যান্য খরচ বাবদ ব্যয় হয়েছে ৪ লাখ টাকা। পরবর্তী বছরে ব্যয়ের তুলনায় আয় বহুগুণ বাড়বে।

সর্বশেষ খবর