সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
বিনা দোষে কারাবাস

আরমানকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ স্থগিত চায় রাষ্ট্রপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিনা দোষে পাঁচ বছর সাজা খাটার ঘটনায় মো. আরমান নামে একজনকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদনে ঢাকার পল্লবী থানার সাবেক চার পুলিশ সদস্যের বিষয়ে আদেশও স্থগিত চাওয়া হয়েছে। তবে চেম্বার আদালত এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেয়নি। মাদক মামলায় শাহাবুদ্দিন বিহারি নামে একজনের ১০ বছরের কারাদন্ড হয়েছিল। তার বদলে আসামি হিসেবে চার বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন আরমান।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। চার পুলিশ সদস্যের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। আরমানের পক্ষে ছিলেন রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন হুমায়ন কবির পল্লব। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত বলেন, চেম্বার বিচারপতি নূরুজ্জামানের আদালত চার পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি। তাদেরকে সিপি (লিভ টু আপিল) করতে বলেছেন। অন্যদিকে ক্ষতিপূরণ স্থগিত চেয়ে আবেদনটি নট টু ডে (আজ নয়) করেছেন।

গত বছরের ১৮ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে ‘কারাগারে আরেক জাহালম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। হাই কোর্টের হস্তক্ষেপে তিনি কারামুক্ত হন।

নথিসূত্রে জানা গেছে, মামলা তদন্তের সময় এজাহারে মূল আসামি শাহাবুদ্দীন বিহারির নামের পাশে ওরফে আরমান লেখা হয়। আর শাহাবুদ্দীনের বাবার নাম মহিউদ্দীন হলেও তার জায়গায় আরমানের বাবার নাম প্রয়াত ইয়াসিন জুড়ে দেওয়া হয়। এতে জড়িত ছিলেন তৎকালীন ডিবির এসআই সিরাজুল ইসলাম ও নূরে আলম সিদ্দীকী এবং পল্লবী থানার এসআই মো. রাসেল। আরমানকে আটকের সময় পল্লবী থানার ওসি ছিলেন দাদন ফকির। গত ৩১ ডিসেম্বর আরমানের আটকাদেশ অবৈধ ঘোষণা করে তাকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় দেয় হাই কোর্ট। রায়ে আরমানকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সকালে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর বিহারি ক্যাম্প এলাকার নিজ বাসার সামনে থেকে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে আটক হন আরমান। পরে তাকে মাদক কারবারি ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি শাহাবুদ্দীন বিহারি হিসেবে দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ খবর