রবিবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পাওনা টাকার জন্য মোবাইল ফোন কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মোবাইল ফোন সেট বিক্রেতা জহুরুল ইসলাম (২৩) হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। পাওনা টাকা যাতে না দিতে হয় সেজন্য তাকে হত্যার মাধ্যমে দুনিয়া ছাড়া করে দুর্বৃত্তরা। সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতারের পর এই হত্যার রহস্য উন্মোচন হয় বলে গতকাল রাজশাহী জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার বিকালে দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার তিন আসামি হলেন, নাটোরের লালপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মাসুদ রানা (২৬), কাজিপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম ওরফে শাওন (৩০) এবং বাঘার জোতকাদিরপুর গ্রামের মেহেদী হাসান ওরফে রকি (২৩)। নিহত জহুরুল ইসলাম বাঘার পানিকুমড়া বাজারের মেহেদী হাসান মনির টেলিকম ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে বিক্রয়কর্মীর কাজ করতেন। গত ৬ জানুয়ারি বাঘার তেথুলিয়া শিকদারপাড়া গ্রামে তার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। একটু দূরেই পড়ে ছিল তার মোটরসাইকেল। তবে বিক্রির জন্য দোকান থেকে নিয়ে যাওয়া কিছু মোবাইল সেট পাওয়া যায়নি। এ হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, আসামি মাসুদ রানা ও শাওন নিহত জহুরুলের কাছ থেকে বাকিতে তিনটি মোবাইল সেট কিনেছিলেন। জহুরুল তাদের টাকার জন্য চাপ দিতেন। কিন্তু মাসুদ ও শাওন টাকা দিতে পারছিলেন না। তাই তারা জহুরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এর অংশ হিসেবে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টাকা পরিশোধের আশ্বাসে একটি আমবাগানে তাকে ডাকা হয়। জহুরুল সেখানে গেলে শাওন ও মাসুদ তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর জহুরুলের কাছে থাকা ২৮টি মোবাইল সেট ও নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর মোবাইল সেটগুলো অন্য আসামি রকির কাছে রাখেন। পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করেছে। পুলিশের চারঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নুরে আলম একটি টিম নিয়ে শুক্রবার তিনজনকে গ্রেফতার করেন। তিনি জানান, গ্রেফতারের পর আসামি শাওন ও মাসুদ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। শুক্রবারই বিকালে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি নেওয়ার পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সর্বশেষ খবর