সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা পি কে হালদারের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন। গ্রেফতার দুজন হলেন- পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক। অভিযোগ অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান তাদের গ্রেফতার করেন।

জানা গেছে, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের  অনুসন্ধানে এই দুজনের নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের মামলায় পি কে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে গ্রেফতার করে দুদক। এরপর ওই দিনই তাদের আদালতে হাজির করা হলে এই বাবা-মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি পি কে হালদারের আরেক সহযোগী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেফতার করে দুদক। মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় এর আগে গত ৪ জানুয়ারি পি কে হালদারের আরেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী শংখ ব্যাপারীকে গ্রেফতার করা হয়। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে-পরে আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। কোম্পানিগুলো হলো ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।