জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রায় ১১ হাজার ৩২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ের আট প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৫ হাজার ১৪০ কোটি ৩৯ লাখ, বিদেশি ঋণ ৬ হাজার ১৬৫ কোটি ৮২ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে দুটি সংশোধিত এবং ছয়টি নতুন। তার মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল ৩ হাজার ৯২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনীতে ২ হাজার ৫৩০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা খরচ বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ৬ হাজার ৪৫৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। এখন প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল ৫ হাজার ২৪৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। সংশোধনীতে প্রকল্পটির খরচ ২ হাজার ৯০৩ কোটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮ হাজার ১৫১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘টাঙ্গাইল জেলার ১০টি পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ২৭২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর উন্নয়ন’ প্রকল্পটি ৪ হাজার ৩৪৭ কোটি ২১ লাখ টাকা খরচে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’ প্রকল্পটি ৩৮৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা খরচে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।