সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মোট আসামি ১৬৪, বাদী বললেন বিচার দাবি করায় আমি এখন টার্গেট

নোয়াখালী প্রতিনিধি

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

নোয়াখালীর বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আদালতে হত্যার অভিযোগে পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী জানান, মামলা করা এবং হত্যার বিচার চাওয়ায় তিনি এখন আসামিদের টার্গেট।

গতকাল জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ নম্বর বিচারিক আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন রাজু। বিচারক এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান শুনানি শেষে এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে কিনা, তা ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার জানান, আদালতে দায়ের করা অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মির্জার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাসিকসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সকালে আদালত অভিযোগটি দিনের কার্য তালিকায় রেখে বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিলসাপেক্ষে বিকালে এ বিষয়ে শুনানির জন্য রাখা হয়। শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে কিনা তা ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেয়।

আদালত থেকে বের হয়ে বাদী এমদাদ হোসেন রাজু সাংবাদিকদের জানান, আলাউদ্দিনের হত্যাকারীরা তাকে ও তার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের নানারকম বাধা অতিক্রম করে তাকে আদালতে পৌঁছতে হয়েছে। তিনি আরও জানান, আদালতে আসতে আমাকে পাহারা দেওয়া হয়েছে। অনেক কৌশল করে আসতে হয়েছে। আমি কেন ভাই হত্যার বিচার দাবি করছি, তাই তাদের টার্গেট আমি। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি।  

এ সময় নিহত আলাউদ্দিনের মা মরিয়ম নেছা আদালাত প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি ছেলের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে বসুরহাট পৌর এলাকায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের সংষর্ঘ ও গোলাগুলি হয়। সংঘর্ষে অটোরিকশাচালক যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর