রাজধানীর বিমানবন্দরের সামনের সড়কে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার ধসে দুই চীনা প্রকৌশলীসহ চারজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটে এ ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট। আহতদের প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে আহতদের মধ্যে তিনজনকে এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং একজনকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার গভীর রাতে উত্তরার আবদুল্লাহপুরে পলওয়েল মার্কেটের কাছে এ প্রকল্পের একটি পিয়ার ক্যাপ ধসে পড়ে। তবে সেখানে কেউ হতাহত হননি। বিআরটি প্রজেক্টের চিফ কিউসি ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রহমান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ডিএমপির উত্তরা বিভাগের ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, আহতদের সবার অবস্থাই গুরুতর। তাদের দুটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। ঘটনার সময় তারা ওই প্রকল্পে কাজ করছিলেন। গার্ডারটি কীভাবে ভেঙে পড়েছে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। তবে সেখানে যারা কাজ করছিলেন তাদের অদক্ষতার কারণে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সাইফুল ইসলাম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকালে বিমানবন্দরের বিপরীত পাশে বিকট শব্দ হয়। তাকিয়ে দেখি ধুলা উড়ছে, মানুষ এদিক- সেদিক দৌড়াদৌড়ি করছে। কাছে গিয়ে দেখি গার্ডার ধসে পড়েছে। আহতদের মধ্যে চীনা দুই নাগরিকের অবস্থা খারাপ ছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদের অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিই। গার্ডারের ওপর ১৫ থেকে ২০ জন লোক ছিলেন। তাদের সবাই কমবেশি আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা সরঞ্জাম না থাকায় তারা ওপর থেকে নিচে ছিটকে পড়েন। বিআরটির প্রকল্প পরিচালক মো. লিয়াকত আলী জানান, শনিবার রাত আড়াইটার দিকে উত্তরা পলওয়েলের কাছে এ প্রকল্পের একটি পিয়ার ক্যাপ ধসে পড়ে।
ঢালাই প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হওয়ার পর সাপোর্ট দেওয়ার যে খুঁটিগুলো ছিল তার একটিতে কোনো কিছুর আঘাত লেগেছিল। সেই খুঁটি সরে যাওয়ায় সম্পূর্ণ ঢালাই ধসে পড়ে। ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ট্রাফিক ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে এটি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ধসে পড়া অংশগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
