সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

বিজিএমইএ ভোটে জয়ে আশাবাদী দুই পক্ষই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নির্বাচনে গতকাল সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। সবশেষ খবর অনুয়ায়ী- ভোট গণনা চলছে। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম। এই নির্বাচনে ৩৫ পরিচালক পদের ৭০ জন প্রার্থী। দিনভর একে-অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করলেও, কোনো আপত্তিকর ঘটনা ঘটেনি। দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট দিয়েছেন পোশাকশিল্প মালিকরা। রাজধানী ঢাকায় হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু এবং চট্টগ্রামে বিজিএমইএ আঞ্চলিক কার্যালয়ে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি- বিজিএমইএ নির্বাচনে চূড়ান্ত তালিকায় ঢাকা অঞ্চলে মোট ভোটার ১ হাজার ৮৫৩ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৪৬১ জন। সভাপতি প্রার্থী হিসেবে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল প্রধানের নেতৃত্ব দেন জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক হাসান ও ফোরামে নেতৃত্ব দেন হান্নান গ্রুপের চেয়ারম্যান এ বি এম সামসুদ্দিন। দুজনেই সংগঠনটির সাবেক সহসভাপতি। সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল প্রধান ফারুক হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার পূর্ণ প্যানেলসহ জয়লাভ করব। বিজিএমইএ সদস্যরা আমাকে সে সুযোগ করে দেবে বলে বিশ্বাস করি। তবে নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকে, ফলাফল যাই হোক আমি মেনে নেব। তবে বিজয়ী হলে আমার প্রথম কাজ হবে কারখানা সচল রাখা এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়ন।

সরকারের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে এ খাতের উন্নয়নই বড় চ্যালেঞ্জ হবে। ফোরামের প্যানেল প্রধান এ বি এম সামছুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি কাজেই বিশ্বাসী। শুধু আমি না, সদস্যরা আমার পূর্ণ প্যানেলকে বিজয়ী করবে বলে আমার বিশ্বাস আছে। লকডাউন শুরু হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমিকের স্বাস্থ্যসুরক্ষা দিয়ে কাজ চলমান রাখা বড় চ্যালেঞ্জ।

একের পর এক ঝড় আসছে, এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এ খাতকে এগিয়ে নিতে হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ভোট সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে হয়েছে। নতুন বোর্ডের কাছে পণ্যের দাম বাড়ানোসহ অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তাছাড়া বিজিএমইএর ভাবমূর্তির বিষয় আছে। আশা করছি আগামীর বোর্ড এ খাতের উন্নয়নে আরও কাজ করবে।

এদিকে ভোটদান শেষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বিজিএমইএ নির্বাচন এমন উৎসবমুখর পরিবেশেই হয়। আমার খুব ভালো লাগছে। কারও কোনো আপত্তি নেই। নতুন কমিটির চ্যালেঞ্জ হবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা। আমরা ভেবেছিলাম টিকার পরে কভিড শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু নতুন করে করোনার ঢেউ আমাদের শিল্পে প্রভাব ফেলবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, অ্যাপারেল থেরাপি থেকে অ্যাপারেল ডিপ্লোম্যাসিতে যেতে হলে সম্মিলিত পরিষদের বিকল্প নেই। ২০১৩ সালে সবশেষ নির্বাচন হয়েছিল। এরপর আমরা একই কাপে চা খেয়েছি। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশগ্রহণ করেছে। আমাদের ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানিকে এগিয়ে নিতে হলে সম্মিলিত পরিষদের বিকল্প নেই। দীর্ঘ আট বছর পর একটি নির্বাচন হচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস অবশ্যই সম্মিলিত পরিষদের বিজয় হবে। একটি শক্তিশালী বিজিএমইএ গড়ে উঠবে।

সর্বশেষ খবর