শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী দাবি করা প্রতারক গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

চারদিকে প্রতারণার ভয়ংকর ফাঁদ। শহর থেকে গ্রামে বিস্তৃত প্রতারকদের নানা ধরনের নেটওয়ার্ক। চাকরি দেওয়া থেকে শুরু করে বিদেশে লোক পাঠানো- সর্বত্র অবাধ বিচরণ তাদের। প্রতারণার শিকার স্বল্পশিক্ষিত থেকে উচ্চশিক্ষিত অনেকেই। এমনকি বাদ যাচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। অপরাধের বেশির ভাগই ঘটছে প্রতারণা সংশ্লিষ্ট। জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, লোভনীয় চাকরি, বিদেশে লোক পাঠানো, বিদেশি উপহার, বিয়ে-তালাক এমনকি করোনার নমুনা পরীক্ষার নামেও প্রতারণা। সম্প্রতি প্রতারণার ফাঁদ পেতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আইউব আলী নামে এক মুদি দোকানি।

 মাধ্যমিকের গি  পাড়ি দিতে না পারলেও নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে দাবি করেন। মোটা অংকের বেতন দিয়ে রেখেছেন একজন ব্যক্তিগত সহকারীও। কথায় কথায় পুলিশকে ধমক দেওয়া কথিত এ বিশেষ সহকারী ধরা পড়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে।

গত ৭ মার্চ রাজধানীর মিরপুরের দক্ষিণ পাইকপাড়া আদর্শ আবাসন এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবির গুলশান বিভাগ। এ সময় তার ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদ রানাকেও গ্রেফতার করা হয়।

নিয়োগ, বদলি, ভর্তি বাণিজ্যসহ নানা ধরনের তদবিরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রটোকল অফিসারের ভুয়া সিল-স্বাক্ষর ব্যবহার করতেন আইয়ুব আলী। নিজেকে পরিচয় দিতেন ওই প্রটোকল অফিসারের ছেলে হিসেবেও।

ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, দেশে বিভিন্ন শিক্ষিত-অশিক্ষিত মানুষরা প্রতারণাকে একটা শিল্পে রূপান্তর করেছেন। আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি তারাও অন্যায়ভাবে অযোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি বা বদলির জন্য এসব দালালের দ্বারস্থ হই। আইউব ও মাসুদ বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উচ্চাভিলাসী জীবন-যাপন, ইয়াবা সেবন, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও নাইট ক্লাবে নিয়মিত যাতায়াত করত। তারা বিভিন্ন ধরনের ভূমি পরিবর্তন করে আবাসিক থেকে কমার্শিয়াল, নকশা ও প্লান পরিবর্তন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ ও জায়গা-জমি বরাদ্দ সংক্রান্তে তদবিরের মাধ্যমে অবৈধ কাজ করার চেষ্টা করত।

 

সর্বশেষ খবর