শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ২৪ এপ্রিল। সাভারের সেই রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৮ম বার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের এই দিনে ভয়াবহ ভবন ধসের ঘটনায় আঁতকে উঠেছিলেন সারা বিশ্বের মানুষ। পৃথিবীর শিল্পকারখানার ইতিহাসের অন্যতম এই ভয়াবহ মানবসৃষ্ট দুর্যোগে নিমিষেই প্রাণ হারান হাজারের ওপর মানুষ। আর এই দুর্ঘটনায় শত শত পোশাক শ্রমিককে আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব মেনে নিতে হয়। শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি- ভয়াবহ সেই ঘটনার আট বছর পার হয়ে গেলেও এ ঘটনায় হতাহত শ্রমিক ও তার স্বজনরা এখনো সুবিচার পাননি। বিচার হয়নি অভিযুক্তদেরও। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের স্বজনরা যেমন যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাননি, তেমনি যথাযথ সহায়তা না পাওয়ায় আহত অনেক শ্রমিকই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে আজও ফিরতে পারেননি স্বাভাবিক জীবনে। হতাহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও দোষীদের ফাঁসির দাবিতে প্রতি বছরের মতো এবারও সারা দেশে কর্মসূচি পালন করবে বিভিন্ন সংগঠন। তবে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের মতো এবারও সীমিত আকারে কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনগুলো। ‘রানা প্লাজা-তাজরীন, নেভার এগেইন’  এবং ‘গার্মেন্ট শ্রমিকদের প্রয়োজন-নিরাপদ কারখানা’ এই দুটি স্লোগানকে সামনে নিয়ে আজ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মোমবাতি প্রজ্বালন করবে জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন। এ ছাড়া সকাল ৯টায় জুরাইন কবরস্থানে এবং সকাল ১০টায় সাভারের রানা প্লাজা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা। এ উপলক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টসহ অন্যান্য সংগঠন। প্রসঙ্গত, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ধ্বংসস্ত‚প থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত অবস্থায় এবং এক হাজার ১১৭ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৯ জন মারা যান। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার ১৩৬ জনে। আহত হন এক হাজার ৫২৪ জন। ২৯১টি লাশ অশনাক্ত অবস্থায় জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে ১৫৭টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর