করোনা মহামারীর মধ্যে হেফাজত নেতাদের গ্রেফতার না করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবির জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মহামারীর মধ্যে যারা দুষ্কর্ম করে তাদের কি গ্রেফতার করা যাবে না? গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যদের মাঝে করোনাসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ করোনা মহামারীর মধ্যে একটি উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। আর অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, তাদের পক্ষে বিবৃতি দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি, যানবাহন জ্বালিয়ে দেয়, ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষের জমির দলিলপত্র পোড়ায়, ফায়ার-রেল-পুলিশ স্টেশনে হামলা করে, ঐতিহ্য-পুরাকীর্তি বিনষ্ট করে, অন্য ধর্মের উপাসনালয়ে আক্রমণ করে, তাদের কি গ্রেফতার করা যাবে না? তাদের বিরুদ্ধে কি দেশের ফৌজদারি আইন অকার্যকর করে দিতে হবে? মন্ত্রী ড. হাছান এ সময় মহামারীর মধ্যে প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে অক্লান্ত কাজ করে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহের জন্য ও এগুলো বিতরণের জন্য ডিইউজে নেতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি বলেন, করোনাকালে ব্যবসায় মন্দার অজুহাতে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি অত্যন্ত দুঃখজনক, অনভিপ্রেত ও আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য।

সম্প্রতি যেখানে চাকরিচ্যুতি হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো চেষ্টা করছে। আশা করব, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের পুনর্বহাল করার দিকেই কর্তৃপক্ষ যাবেন, এ আমার প্রত্যাশা।