শনিবার, ২২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না বরিশাল বিভাগের ৬৯ হাজার ৪৮৫ জন

বিদেশ গমন আটকে আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল বিভাগের ৬৯ হাজার ৪৮৫ জন মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না। টিকার দ্বিতীয় ডোজ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজের সময় হলেও মুঠোফোনে সরকারিভাবে খুদে বার্তা পাচ্ছেন না প্রথম ডোজ দেওয়া ব্যক্তিরা। দ্বিতীয় ডোজের খোঁজখবর নিতে সরকারি টিকা কেন্দ্রে গিয়ে কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়েছেন তারা। কবে, কখন দ্বিতীয় ডোজ পাবেন বা আদৌ পাবেন কি না তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় তারা। এদিকে প্রথম ডোজ নেওয়া প্রবাসীরা দ্বিতীয় ডোজ ও প্রত্যয়ন না পাওয়ায় বিদেশে যেতে পারছেন না। তারা দ্বিতীয় ডোজ পেতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে ভিড় করেন অনেকে। তারা সেখানে গিয়ে টিকা কেন্দ্রের কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। কেন্দ্রে আগতরা জানান, নির্ধারিত দুই মাস সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের খুদে বার্তা পাননি। গত বৃহস্পতিবার জেনারেল হাসপাতালে খোঁজ নিতে গিয়েও টিকা কেন্দ্রে কাউকে পাননি। কবে, কীভাবে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন কিংবা আদৌ নিতে পারবেন কি না তাও জানতে পারছেন না তারা। আগামী দিনে যাদের টিকার দ্বিতীয় ডোজের দিন নির্ধারিত আছে তারাও জানেন না পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে।

এদিকে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে না পেরে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন বিদেশগামীরা। সময়মতো টিকার দ্বিতীয় ডোজ না পেয়ে বিদেশযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, টিকা সংকটের কারণে বরিশাল নগরীর ৩টি টিকা কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত টিকার দ্বিতীয় এবং প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ থাকবে। বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, করোনা টিকা দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে সারা দেশে একই অবস্থা বিরাজ করছে। বরিশাল বিভাগে করোনা টিকার ১ হাজার ৩৬৫টি ভায়েল মজুদ রয়েছে। এই ভায়েল দিয়ে ১৩ হাজার ৬৫০ জন মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৩০৩ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৮ জন।

সে হিসেবে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি ৮৩ হাজার ১৩৫ জন মানুষ। স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে মজুদ থাকা ১ হাজার ৩৬৫টি ভায়েল দিয়ে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে ১৩ হাজার ৬৫০ জন মানুষকে। সে হিসেবে প্রথম ডোজ নেওয়া ৬৯ হাজার ৪৮৫ জন মানুষ দ্বিতীয় ডোজ বঞ্চিত হবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত টিকার।

সর্বশেষ খবর