বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মামলায় ভুয়া আগাম জামিন আদেশ তৈরির ঘটনায় দুই আইনজীবীসহ তিনজনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম মিতি বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) হাই কোর্টে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। ভুয়া জামিন আদেশ তৈরির সঙ্গে জড়িত চারজনের নাম উঠে এসেছে সিআইডির তদন্তে। এরা হলেন, ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজীব, বগুড়া আদালতের আইনজীবী তানজীম আল মিসবাহ, ঢাকা জজ কোর্টের কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানা ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী সহকারী মো. সোহাগ। কারাগারে থাকা সোহাগ ইতিমধ্যেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত দুই আইনজীবী ও কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে।
একই সঙ্গে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ২৩ জুন হাই কোর্টে হাজির হতে বলেছে আদালত।
এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের জাল আদেশ দাখিল করে বগুড়ার আদালত থেকে জামিন নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় হাই কোর্ট গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে যুবলীগের সহসভাপতি (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) ও কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামসহ ৩০ আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। এই আদেশ বাস্তবায়ন করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। পরে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
