আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ছয় দফা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামের চিন্তার ফসল। নিপীড়িত, অধিকার বঞ্চিত বাঙালির আত্মঅধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি ছয় দফা প্রস্তুত করেছিলেন। ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আমির হোসেন আমু বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় জনগণকে ছয় দফার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এর ধারাবাহিকতায় ধাপে ধাপে ৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ছয় দফাই ছিল মূলত বাঙালির মুক্তির সনদ। কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ছয় দফার মধ্যেই নিহিত ছিল স্বাধীনতার বীজ। সুপ্ত ছিল বাঙালির আত্মমর্যাদায় বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি চিরঞ্জীব নক্ষত্র, যার নির্দেশিত পথে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ছয় দফার পথ ধরেই স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাঙালি। জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বাঙালির শতভাগ পূর্ণকর্তৃত্ব ও স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব ছিল বঙ্গবন্ধুর ছয় দফায়।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা জন্মগ্রহণ করার কারণেই স্বাধীনতা পেয়েছে বাঙালি। তা না হলে এ স্বপ্ন পূরণ অসম্ভব হয়ে পড়ত। জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, মাথাপিছু আয়ে বাংলাদেশ আজ ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তা আরও ২৫ বছর আগেই সম্ভব হতো। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।