ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ২৯ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করেন। এ খারিজ আদেশের পর ১৬ জুন হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন খন্দকার এনামুল বাছির। ২০১৯ সালের ২২ জুলাই রাত পৌনে ১১টার দিকে দুদকের পরিচালক ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে একটি টিম মিরপুরের দারুসসালাম থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে। পর দিন জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাকে কারাগারে পাঠান। একই সঙ্গে তাকে ডিভিশন দেওয়ার জন্য আবেদন করলে আদালত কারা কর্তৃপক্ষকে জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে এর আগে সাময়িক বরখাস্ত করে সংস্থাটি। ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির দায়ে পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
